মাদ্রাসাটি টাঙ্গাইল জেলাধীন সখিপুর উপজেলার অন্তর্গত ৫নং হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাতীবান্ধা গ্রামে হাতীবান্ধা কামালিয়া চালা পাকা রাস্তার পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহী কামালিয়া চালা হাটের পূর্ব পার্শ্ব ঘেষে অবস্থিত। একটি দক্ষিণ মুখী ফ্যাসিলিটিজ ১তলা বিশিষ্ট পাকা ভবন ও মাঠের তিনদিকে ৪টি টিনশেড ঘর আছে।
মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ১টি পুকুর, সুশোভিত,মেহগীনি গাছ দ্বারা বেষ্টিত। দক্ষিণ দিকে পুকুরে যাতায়াতের জন্য ১টি গেট ও পশ্চিম দিকে সদর রাস্তায় যাতায়াতের জন্য ১টি গেট আছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই নামাজের জন্য টিনশেড মসজিদ বিদ্যমান। সর্বোপরী প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি একটি আদর্শ ও সম্ভাবনাময় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রাকৃতিক গজারি বন ছায়াঘেরা পল্লী গ্রাম টাংগাইল জেলার হাতীবান্ধা গ্রাম।শিক্ষা সভ্যতায় অনগ্রসর গ্রামে মাদ্রাসাটি ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠার লগ্নে মনিরুল উলুম ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণের সার্বিক সহযোগিতায় শুরু করা হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্নে যাদের ভুমিকা উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে মরহুম মাওঃ রমজান আলী, আকবর আলী মেম্বার, আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী, আঃ রউফ মুন্সী, রমিজ মুন্সী, মরহুম মনিরুল ইসলাম। এদের মধ্যে মরহুম মনিরুল ইসলাম এর পৈত্রিক সম্পত্তির উপর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে অবশ্য অনেকেই জমি দান করেন। তাঁদের মধ্যে মরহুম শুকুরজান, আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী অন্যতম।
স্বাধীনতা পরবতী সময়ে পাহাড়ের অন্যতম সনামধন্য আলেমে দ্বীন মরহুম মওলানা আব্দুল হাই সালাফীর উদ্যোগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উৎসাহ যুগীয়ে আশার বীজটি বৃক্ষতে রূপান্তরিত হয়। তার সাথে যারা সহযোগীতা করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- মরহুম খালেকুজ্জামান, আলহাজ ফয়েজ উদ্দিন মেম্বার, মরহুম এবাদুল্লাহ সিকদার, আব্দুল ওয়াহাব, জনাব আবুল হোসেন ও জনাব সরবেশ আলী প্রমুখ দানবীর ব্যক্তিত্ব।
যাদের অনবদ্য অবদানে মাদ্রাসাটি বর্তমান অবয়ব পেয়েছে তাঁদের মধ্যে অত্র পাহাড়ের স্বনাম ধন্য শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জিএম জনাব আব্দুল মালেক, বিশিষ্ট দানবীর ও বর্তমান ৫নং হাতীবান্ধা ইউ/পি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নবীন হোসেন, বর্তমান গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি জনাব মোঃ মতিয়ার রহমান সরকার (সাঈদ সরকার) প্রমুখ।
১৯৮৪ খ্রিঃ সনে মাদ্রাসাটি দাখিল মাদ্রাসা হিসাবে মাদ্রাসা বোর্ডের অনুমতি ও ১৯৮৬ খ্রিঃ সনে এমপিও ভুক্ত হয়। আলিম স্তর অনুমতি পায় ১৯৯০ খিঃ সনে ও ১৯৯৬ খ্রিঃ সনে আলিম স্তর এমপিও ভুক্ত হয়।
দাখিল স্তরে সুপার পদে প্রথম দায়িত্বে ছিলেন মরহুম মাওঃ আব্দুর রহমান এবং পরবর্তীতে আ.ফ.ম আব্দুল করিম। আলিম স্তরে উন্নীত করার ক্ষেত্রে মাওঃ আ.ফ.ম আব্দুল করিম সাহেবের অবদান অনস্বীকার্য।
সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানটি একটি সম্ভাবনাময় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
০১। জনাব মোঃ মতিয়ার রহমান সরকার সভাপতি
০২। ,, ,, ফজলুল হক অধ্যক্ষ/সম্পাদক
০৩। ,, ,, সরবেশ আলী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
০৪। ,, ,, ইউছুব আলী দাতা ,,
০৫। ,, ,, আমিনুল ইসলাম অভিভাবক ,,
০৬। ,, ,, আব্দুল করিম ,, ,,
০৭। ,, ,, আব্দুল জলিল ,, ,,
০৮। ,, ,, লিয়াকত ,, ,,
০৯। ,, মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য
১০। ,, নরেশ চন্দ্র সরকার ,, ,, ,,
১১। ,, মোঃ আবু সাইদ শিক্ষানুরাগী সদস্য
২০০৭ সালে- দাখিল ৪৭.৩৭%, আলিম ৯০%।
২০০৮ সালে- দাখিল ১০০%, আলিম ১০০%।
২০০৯ সালে- দাখিল ৬৪.৭০%, আলিম ২০%।
২০১০ সালে- সমাপনী ১০০%, জেডিসি ৮১.৮২%, দাখিল ৯৬%, আলিম ১০০%।
২০১১ সালে- সমাপনী ১০০%, জেডিসি ১০০%, দাখিল ৮৩%, আলিম ৯১.৬৬%।
২০০৭ সালে- ৪র্থ শ্রেণী ১জন বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদারেসীন সখিপুর শাখা, টাঙ্গাইল। ৫ম শ্রেণী ১জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
২০০৮ সালে- নাই।
২০০৯ সালে- নাই।
২০১০ সালে- ৫ম শ্রেণী ১জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। ৮ম শ্রেণী ১জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
২০১১ সালে- ৪র্থ শ্রেণী ১জন বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদারেসীন সখিপুর শাখা, টাঙ্গাইল। ৫ম,৭ম ও ৮ম শ্রেণী তালিকা প্রকাশ হয়নি।
১। মাদ্রাসাটি অত্র এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে এলাকায় শিক্ষার হার বেড়েছে। সভ্যতার দ্রুত বিকাশ হয়েছে।
২। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
৩। অত্র প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে অনেকেই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়ীত্ব পালন করছেন।
৪। অনেক ছেলে মেয়ে দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ও মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করছেন।
৫। প্রতিষ্ঠাণের অবকাঠামোগত প্রভুত উন্নিত সাধিত হয়েছে।
১। মাদ্রাসাটি ফাজিল (ডিগ্রী) স্তরে উন্নীত করার সার্বিক প্রস্ত্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।
২। মাদ্রাসায় ব্যবসায় শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা,ভোকেশনাল বিভাগ ও বিজ্ঞান শাখা খোলার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
৩। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা আবাসিক হল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।
৪। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
৫। সহ পাঠক্রম ব্যস্থাপনায় ইনডোর / আউটডোর গেমস নিয়মিত করণ ও মেধাভিত্তিক ছাত্র পরিষদ গঠণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা-সখিপুর রোডে তক্তারচালা বাস ষ্টান্ড হতে ৬ কি.মি পশ্চিম দিকে কামালিয়াচালা বাজারের পুর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। ডাকঘরঃ হাতীবান্ধা,উপজেলাঃ সখিপুর, জেলাঃ টাঙ্গাইল। E-mail:- kcam_36@yahoo.com
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস